Showing posts with label জীবন যাপন. Show all posts
Showing posts with label জীবন যাপন. Show all posts

প্রাণের মানুষ নিয়ে প্রচলিত ৯টি ভুল ধারণা আজই পরিত্যাগ করুন

প্রাণের মানুষ নিয়ে প্রচলিত ৯টি ভুল ধারণা আজই পরিত্যাগ করুন


জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নিয়ে নানা মিথ প্রচলিত রয়েছে। নর-নারী আজীবনের জন্য এমন একজন সঙ্গী বা সঙ্গিনী পেতে চান যিনি তার আত্মা ও প্রাণের সঙ্গে মিশে যাবেন এবং 'সোলমেট' হয়ে উঠবেন। কিন্তু 'সোলমেট' এর অস্তিত্ব আসলে নেই। অন্তত এমনটিই বোঝানো হয়। তা ছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে এমন সব গল্প বা উপদেশ প্রচলিত রয়েছে যা বিশ্বাস করলে হিতে বিপরীতটিই ঘটে এবং এসবের কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। এখানে এমনই ৯টি প্রচলিত ধারণার কথা বলা হলো যা বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
১. একজনই আছেন : প্রচলিত জনশ্রুতিগুলোর অন্যতম একটি হলো, আপনার সত্যিকার প্রাণের মানুষ এই পৃথিবীতে একজনই আছেন। আর এ কারণেই অনেকে মনের মতো মানুষটিকে পছন্দ করতেও দ্বিধা করেন। আবার বিচ্ছেদের পর বা সঙ্গী-সঙ্গিনীর অবর্তমানে তারা অন্য কাউকে সোলমেট বলে বিশ্বাস করেন। আসলে সোলমেট এমন একজন যিনি আপনাকে সম্পূর্ণ করেন। সে হতে পারে কাছের বন্ধু বা পরিবারের কেউ বা অন্য যে কেউ।
২. আর কিছুই প্রয়োজন নেই : এটি আরেকটি ভ্রান্ত ধারণা। আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে অবশ্যই ভালোবাসেন। কিন্তু তাকে ছাড়া জীবনের বাকি সবকিছু মূল্যহীন তা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। আপনার পরিবার, বন্ধুমহল, শখ বা ইচ্ছে পূরণের যথেষ্ট মূল্য রয়েছে।
৩. সম্পর্কস্থাপন বেশ সহজ : সম্পর্ক এমনিতেই হয় না। আবার একে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াও সহজ কাজ নয়। দুজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া, ত্যাগ এবং সমঝোতার মাধ্যমে সম্পর্ক পরিণত হয়। তাই কাউকে যদি সোলমেট হিসেবে মনে করে থাকেন, তবে তার সঙ্গে যে আপনার সম্পর্ক সহজেই হয়ে যাবে এবং তা খুব সহজেই গতিশীল থাকবে তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
৪. দুজনেই পছন্দ একই : অনেক জুটি রয়েছেন যাদের পছন্দের যথেষ্ট মিল রয়েছে। আবার অনেক জুটির পছন্দের কোনো মিলই নেই। অথচ তারা সবাই দারুণ সম্পর্ক বয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই সোলমেটের সঙ্গে আপনার পছন্দ এবং চাওয়া-পাওয়ার যে হুবহু মিল থাকবে, তা আশা করা বোকামি। সব মানুষই ভিন্ন এবং তাদের পছন্দও ভিন্ন হতে পারে। মূলত দুজনেরই দুজনের পছন্দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।
৫. সোলমেট জীবনসঙ্গী হবে : এমন কোনো কথা নেই। সোলমেট যে একমাত্র বিপরীত লিঙ্গে এমন কেউ হবেন যে আপনার জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী হবেন, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। আপনার জীবনের পরিপূর্ণতা যে দান করবে তিনি আপনার সোলমেট হতে পারেন। এটা দাদা-দাদি থেকে শুরু কাছের বন্ধুও হতে পারেন।
৬. সোলমেট ছাড়া আপনি অর্ধ মানব : অর্থাৎ আপনার ব্যক্তিত্ব পূর্ণতা পাবে না একজন সোলমেট ছাড়া। এ পুরোপুরি অযৌক্তিক। আপনি আদতে যেমন মানুষ, সোলমেটকে ছাড়াও আপনি আসলে আগের মানুষটিই। আপনার মধ্যে কোনকিছুর কমতি নেই যা অন্য কেউ এসে পূরণ করে দেবেন। পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে এক ধরনের পরিপূর্ণতা আসতে পারে।
৭. ঠিক সিনেমার মতো : আপনার জীবনে সোলমেটের আগমন রোমান্টিক সিনেমার গল্পের মতো হয় না। রূপকথার গল্পে যে সোলমেটের কথা বলা হয়, তা রূপকথার মতোই কাল্পনিক। এসব সিনেমা সোলমেটের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে না।
৮. সোলমেট কখনো প্রতারণা করেন না : সোলমেট প্রতারক হবেন তা কারো মন মানতে চায় না। অনেক প্রেমপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেও একজন আরেকজনের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন। যেকোনো মানুষ আপনার সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন। কাজেই সোলমেট যে প্রতারণা করতে পারেন না, তা বিশ্বাস করাটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
৯. সোলমেট আপনার মনের কথা বোঝেন : সোলমেট যে জাঁদরেল মনোবিজ্ঞানী হবেন এমন কোনো কথা নেই। কাজেই আপনার মনের জটিল পরিস্থিতি তিনি নাও বুঝতে পারেন। একে-অপরকে বুঝতে হলে নিজেদের খোলাশা করতে হবে। কোনো বিষয় মনে চেপে রেখে আশা করা যাবে না যে, যদি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী সত্যিকার সোলমেট হয়ে থাকেন তাহলে সব বুঝে ফেলবেন। সূত্র : ইন্টারনেট
Read More

রেস্তোরাঁয় কম খরচে মানসম্মত খাওয়ার উপায়

রেস্তোরাঁয় কম খরচে মানসম্মত খাওয়ার উপায়

রেস্তোরাঁতে খেতে যান না এমন মানুষ বিরল৷ মাসে একবার দু’বার রেস্তোরাঁর স্বাদ পেতে চান সবাই৷ কিন্তু এখন রেস্তোরাঁতে খাওয়া মানেই বেশ অনেক টাকার ধাক্কা৷ খাবারের দাম যেন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে৷ কিন্তু তা বলে রেস্টুরেন্টে যাওয়া তো কমিয়ে দেওয়া যায় না! তাছাড়াও রয়েছে দৈনন্দিন প্রচুর খরচ৷ আর ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করে সবাই চায় কিছু পয়সা বাঁচাতে৷ রেঁস্তোরাতে খেতে গিয়েও আপনাকে খেয়াল রাখতে হয় সেসব কথা৷ তাই রেঁস্তোরাতে গিয়ে ভুড়িভোজের সঙ্গে কিভাবে বাঁচাবেন আপনার টাকা তারই কিছু টিপস রইল আপনার জন্য৷
১. কুপনের ব্যবহার
এখন বিভিন্ন শপিং মল বা ঘুরতে যাওয়া বা সিনেমার টিকিট এরকম অনেক কিছুর সঙ্গেই রেঁস্তোরার ডিসকাউন্ট কুপন পাওয়া যায়৷ কিন্তু আমরা বেশিরভাগ সময়ই ওই সব কুপনকে ফেলে দেই বা হারিয়ে ফেলি৷ ওই সব কুপন যত্ন করে রাখতে হবে৷ যখন রেঁস্তোরাতে যাবেন চেষ্টা করুন ওই সব কুপনগুলিকে ব্যবহার করতে৷ এতে বেশ অনেকটা টাকাই বাঁচে৷
২. অতিরিক্ত টিপস না দেওয়া
আপনার আর্থিক অনটন থাকলে বা বাজেটের অতিরিক্ত খাবারের বিল হলে চেষ্টা করুন টিপস না দেওয়ার৷ তাতে আপনার কিছু অর্থ বেচে যাবে৷
৩. ডিনারের বদলে লাঞ্চ করুন
কোনও অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেঁস্তোরাতে পার্টি দিতে হলে চেষ্টা করুন লাঞ্চ পার্টি দিতে৷ একথা আমরা সবাই জানি যে লাঞ্চে অনেক রেস্টুরেন্টেই খরচ ডিনারের থেকে বেশ কিছুটা কম হয়৷
৪. ড্রিংক এড়ান
রেঁস্তোরাতে খাবার খান৷ কিন্তু ড্রিংক না নেওয়াই ভালো৷ কারণ, রেঁস্তোরার থেকে সাধারণ দোকানে আপনি কম দামে ড্রিংক পেতে পারেন৷ তাই রেঁস্তোরাতে ড্রিংক এড়িয়ে চলাই ভালো৷
৫. একসঙ্গে ভাগ করে খান
রেঁস্তোরার খাবার অনেক সময়ই এক প্লেটে একজনের জন্য অনেক বেশি হয়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে আপনি একা রেঁস্তোরায় না গিয়ে কিছু বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে রেঁস্তোরায় যেতে পারেন৷ তাতে আপনার খাবার ও বিল ভআগ করে নিতে পারবেন নিজেদের মধ্যে৷ তাতে আপনার অনেকটা শাস্রয় হবে৷
৬. পছন্দের কাস্টমার হয়ে যান
কলেজ, ইউনিভারসটি বা কর্মজীবনেও এমন অনেক রেঁস্তোরা থাকে যেখানে মআপনি প্রায়ই যান৷ এমন কিছু রেঁস্তোরাও রয়েছে যেখানে ঘনঘন আসা কাস্টমারদের খাবারে বেশি ছাড় দেন৷ মাসে কিছু বার একই রেঁস্তোরাতে গেলে সেই রেঁস্তোরাগুলি অনেকসময় স্কিম অনযায়ী ছাড় দিয়ে থাকে৷
৭. অফারের খেয়াল করুন
অনেক বিশেষ অনুষ্ঠানের সময় কিছু রেঁস্তোরা কাস্টমারদের কিছু অফার দেয়৷ সেইসব অফার খেয়াল করার চেষ্টা করুন৷
৮. ডেজার্ট এড়িয়ে চলুন
ড্রিংকের মতোই খাবারের পরে রেঁস্তোরা থেকে মিষ্টি বা আইসক্রিম না খাওয়াই ভালো৷ বরং রেঁস্তোরা থেকে বেড়িয়ে আপনি কোনও মিষ্টির দোকানে গিয়ে মিষ্টি বা আইসক্রিম খেতে পারেন৷ তাতে আপনার খরচ অনেকটা কমবে৷ 
Read More

প্রতিদিন ৫ খাবারে মেদভুঁড়ি সম্পূর্ণ দূর করুন

প্রতিদিন ৫ খাবারে মেদভুঁড়ি সম্পূর্ণ দূর করুন

১. ডিম
ওজন কমানো এবং নিয়ন্ত্রণে ডিম এমন একটি খাবার যা প্রতিদিন খাওয়া উচিত। প্রোটিন সরবরাহ ছাড়াও ডিম দেহের বিপাকক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। আপনার দেহে যদি কোলেসটেরলের মাত্রা বেশি থাকে, তবে শুধু ডিমের সাদা অংশ খাবেন। কুসুম খাবেন না। ডিমের সাদা অংশে খাঁটি প্রোটিন থাকে।
২. ওটমিল
কখনো ভেবেছেন যে প্রায় সময়ই মিষ্টি খাবার খেতে ইচ্ছা করে কেন? বিশেষ করে সকালে চিনির নেশা পেয়ে যায়। এ থেকে মুক্তি পেতে ওটমিল বেছে নিন। এটা ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। এই শস্যদানা দারুণ স্বাস্থ্যকর এবং তৃপ্তিদায়ক। বহু সময় ধরে পাকস্থলীতে অবস্থান করে ওট। কার্বোহাইড্রেটের উন্নত উৎস, যা মেদ কমাতে সহায়তা করে।
৩. সবুজ বিন
পেটের মেদ ঝরাতে প্রতিদিন শিম বা মটরশুঁটির মতো বিচিজাতীয় সবজি খাওয়ার সুযোগ হেলায় হারাবেন না। এগুলো দেহে আদর্শ পরিমাণ ক্যালোরি প্রদান করে। ফাইবার ও প্রোটিনের বাড়তি যোগ রয়েছে এতে। তরকারি ছাড়াও সালাদে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। সবুজ বিনের ফাইবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। দেহের বিষাক্ত উপাদান তাড়াতেও ওস্তাদ এরা।
৪. বাদাম
তিন বেলা খাবারের মাঝখানে ক্ষুধা অনুভব করলে বাদাম বেছে নিন। চিপস, চকোলেট বা ফাস্ট ফুডের মতো জাংক ফুড থেকে দূরে থাকুন। কাজু বাদামের একটি প্যাকেটই যথেষ্ট। দারুণ স্বাদের বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এতে ক্যালোরি অনেক কম। তবে লবণ ছাড়া বাদাম খাবেন। কারণ লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
৫. বেরি
ফাইবার ও এন্টিঅক্সিডেন্টের এক বিস্ময়কর সমন্বয় ঘটেছে বেরিতে। স্ট্রবেরি বা ব্লুবেরির মতো ফলের এন্টিঅক্সিডেন্ট এক ধরনের এনজাইমের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। দেহের এই এনজাইম স্টার্চকে ভেঙে চিনিতে রূপান্তরিত করে। তাই বেরি দেহে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এতে পেটে মেদ জমে না। কারণ ইনসুলিন ফ্যাট সেলের অতিরিক্ত চিনি দূর করে।
-হিন্দুস্তান টাইমস 
Read More

চুলের জট ছাড়ানোর সহজ ১০ উপায় জেনে নিন

চুলের জট ছাড়ানোর সহজ ১০ উপায় জেনে নিন
তাড়াহুড়োর সময় তৈরি হতে গিয়ে সব থেকে বেশি সমস্যা যা নিয়ে হয় তা হল চুল৷ চুলের জট ছাড়াতেই অর্ধেক সময় চলে যায়৷ তার সঙ্গে ছিঁড়ে যায় কয়েক গাছি চুলও৷ সেই সমস্যা থেকে নিজকে বাঁচাবেন কীভাবে৷  জট ছাড়ানের সমস্যা থেকে চুলকে বাঁচানোর কিছু উপায় দেওয়া হল আপনার জন্য৷
১। চুলের আগা ছাঁটুন নিয়মিত
চুলের আগা নিয়মিত ছেঁটে রাখলে জট কম পরে৷ এছাড়া আপনার চুলের আগা যদি ফেটে গিয়ে থাকে, তাহলে ছেঁটে দিলে আগা ফাটা ও জট লাগা দু’টোই সামলানো যায় একসঙ্গে।
২। কন্ডিশনার ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার লাগানো মাস্ট। এতে চুল মসৃণ ও নরম থাকবে, জট লাগাও প্রতিরোধ করবে।
৩। নিয়ম করে তেল লাগান
উষ্ণ গরম তেল নিয়মিত চুলে লাগানোর চেষ্টা করুন। এরপর শাওয়ার ক্যাপ বা উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন স্নানের আগ পর্যন্ত। এটা ডিপ কন্ডিশনিং এর কাজ করে। চুলের কিউটিকলের পরিচর্যাও করে এবং চুলের রুক্ষতা কমিয়ে চুলকে করে তোলে নমনীয়। মসৃণ চুলে তাই জট লাগে না।
৪। চিরুনি নয়, আঙুল ব্যবহার করুন
জট বাঁধলে চিরুনি বা ব্রাশের বদলে আঙুল দিয়ে সেই জট ছাড়ানোর চেষ্টা করুন। আঙুল দিয়ে বিলি কেটে কেটে জট ছাড়িয়ে এরপর চিরুনি ব্যবহার করুন। চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়াতে গেলে বেশি চুল উঠে যায়৷ ব্যাথাও লাগে মাথার তালুতে৷
৫। বড় দাঁতের চিরুনি নিন
বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস করুন। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তাছাড়া প্লাস্টিকের বদলে প্রাকৃতিক উপাদান যেমন কাঠের তৈরি চিরুনি হলে আরও ভালো হয়। আর মনে রাখবেন, ভেজা চুল কখনই আঁচড়াবেন না। কারণ তা নরম থাকে আর ছিঁড়ে যায়।
৬। নিচ থেকে শুরু করুন
জট ছাড়ানোর নিয়ম হল এর নিচের দিক থেকে শুরু করা। আমাদের অভ্যাস আছে ধৈর্য্য হারিয়ে আমরা চুলের জট ছাড়াতে দুইদিক থেকে চুল দুভাগ করে টানি৷ কখনওই জট খুলতে এই কাজ কখনওই করা উচিত নয়। এতে আর বেশি জট পড়ে যায় চুলে৷
৭। সিরাম ব্যবহার করুন
শ্যাম্পু করার পর চুল আঁচড়ানোর আগে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করুন। এটি চুলকে করে তোলে নরম ও মসৃণ। তাই জট ছাড়াতে তা খুব ভালো সাহায্য করে।
৮। বালিশের কভারে সুতি নয় সিল্ক ব্যবহার করুন
ঘুমনোর সময় আমরা সাধারণত সুতির কাপড়ের বালিশের কভার ব্যবহার করি। কিন্তু সুতি কাপড় আমাদের চুল থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়৷ ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলে স্থির বিদ্যুৎ তৈরি করে। এতে করে চুলে রুক্ষতা তৈরি হয়ে জট লাগার প্রবণতা বাড়ে। কিন্তু সিল্কের কাপড়ে সে সমস্যা হয় না।
৯। বেণী করে শ্যাম্পু করুন
সবসময় যে খোলা চুলেই শ্যাম্পু করতে হবে, এমন কোনও কথা নেই। বরং বেণী করে চুলে শ্যাম্পু করলে ধীরে ধীরে বেণী খুলে আসে ধোয়ার সময়। যা মূলত ভেজা চুলের জট পাকানো থেকে রক্ষা করে আপনার চুলকে।
১০। চুল খোলা রাখুন
কিন্তু তার মানে এই নয় যে চুল সবসময় বেঁধে রাখবেন৷ তাতেও কিন্তু জট বাঁধে চুলে। কাজেই বাড়িতে যখন থাকবেন, চেষ্টা করুন চুল খুলে রাখার। আর নিয়মিত চুল পরিষ্কার করে আঁচড়ে রাখুন। অবাধ্য চুলকে বশে আনার জন্য পরিচ্ছন্ন রাখুন চুলকে। 
Read More

চশমা পরেও 'মোহময়ী' হওয়ার ৬ উপায়

চশমা পরেও 'মোহময়ী' হওয়ার ৬ উপায়

যারা চশমা পড়েন তাদের অনেকেই নানা সময় মন খারাপ করতে দেখা যায়৷ কারণ তার ওই ‘কালো হরিণ চোখ’ দুটি চলে যায় চশমার আড়ালে৷ লেন্স দিয়ে সমস্যার কিছুটা সমাধান করা গেলেও চিরন্তণ সমাধান হিসাবে লেন্স কখনই গ্রহনযোগ্য নয়৷ কারণ বেশি সময় একটানা লেন্স চোখে পড়ে থাকলে আরও নানান সমস্যার সৃষ্টি হয়৷ তাই অগত্যা চশমাকেই বেছে নিতে হয়৷ কিন্তু আমরা আজ চশমা পড়েন আপনার চোখকে মোহময়ী করে তুলতে কয়েকটি উপায় বাতলে দেব৷ যা পূজোর আগেই আপনাকে আকর্ষনীয় করে তুলবে।
১) যাঁরা চশমা পরেন তাঁরা কিন্তু অজান্তেই চোখের তলার কালি ও ফোলা আরো বেশি করে হাইলাইট করে ফেলেন ৷ তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখের কালি ও ফোলা ভাব ঠিক করাটা জরুরী ৷ চোখের তলার ফোলা অংশে বরফ ঘষলে কমে যায় ফোলা ভাব থেকে মুক্তি পাবেন৷ তাই মেক আপ করার আগে চোখের তলায় একটু বরফ ঘষে নিন ৷ এরপর কালার কারেক্টিং কনসিলার দিয়ে ভালো করে চোখের তলার কালি মুছে ফেলুন ৷চোখের নীচের পাতায় কাজল বা আই লাইনার না লাগানোই ভালো ৷ কারণ এতে চোখের তলার কালি আর ফোলা ভাব আরও বেশি করে দৃষ্টি আকর্ষণ করবে৷
২) এটা সত্যি যে চশমার কারণে চোখের আই শ্যাডো ঢাকা পড়ে যায় ৷ তাই আই শ্যাডোকে দেখাতে ন্যুড কালার বা সোনালী রং দিয়ে চোখের পাতা হাইলাইট করুন‚ এরফলে চোখ অনেকটা বড় দেখাবে৷ পাশাপাশি, চোখের আইশ্যাডো এমন রঙের নির্বাচন করুন যাতে সেটা চশমার ভিতর দিয়ে দেখা যায় ৷ তবে মনে রাখবেন চশমার ফ্রেম আর আই শ্যাডোর রং যেন আলাদা হয় ৷ নীল‚ সবুজ এবং লাইল্যাক রং খুব ভালো দেখায় ৷ চোখের পাতায় প্রথমে একটা হাল্কা রং লাগিয়ে নিন ৷ এবার চোখের বাইরের কোণায় গাঢ় রং লাগান ৷
৩) যে মহিলারা চশমা পরেন তাদের জন্য চোখের পাতা হাইলাইট করা অত্যন্ত জরুরী ৷ ভালো করে মাস্কারা লাগানোর আগে আই ল্যাশ কার্লার দিয়ে চোখের পাতা কালার করে নিন ৷ এরপর দু- তিনবার মাস্কারা লাগান৷ দেখবেন আপনার চোখ বেশ মোহময়ী হবে অন্যদের চোখে৷
৫) চশমা থাক বা না থাক মোটা আনশেপড ভ্রু কিন্তু মোটেই ভাল দেখায় না ৷ তাই মাসে অন্তত দুবার ভ্রু-প্লাক করা জরুরী৷ খয়েরি রঙের আই শ্যাডো দিয়ে ভ্রু আরও গাঢ় করে তুলুন ৷
৬) চোখ যখন চশমায় ঢাকা তখন চোখ ছাড়া যাতে ঠোঁটে অন্যের চোখ আটকে যায় তার ব্যবস্থা করুন ৷ আই শ্যাডোর কথা ভুলে গাঢ় লাল রঙের লিপস্টিক দিয়ে ঠোঁট রাঙিয়ে তুলুন ৷ হট পিঙ্ক বা ডিপ বেরীও পছন্দ করতে পারেন আপনার ঠোটের জন্য৷ 
Read More